(i) একটি ভাঙ্গা কুলার আত্মকথন : "আজ সমাদর না থাকলেও একদিন আমার কদর ছিল। সকলে আমাকে দিয়ে নানান কাজ করত। চাল পরিষ্কার, ধান থেকে চিটাগুলোকে আলাদা করা, আরও কত কী! কিন্তু এখন আমি বুড়ো হয়েছি। আজ চুলোর পাশে অনাদরে পড়ে আছি।”
(ii) 'গাইবান্ধার নাকাইহাট এলাকায় শওকত আলী নামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বিলুপ্ত ও দুর্লভ প্রজাতির প্রায় এক হাজার ঔষধি ও ফলদ গাছের বাগান। সেই সঙ্গে বিলুপ্তপ্রায় ও দুর্লভ গাছের প্রজাতি ধরে রাখতে গাছের চারা দিচ্ছেন বিনামূল্যে ।
উদ্দীপক-১ :
“দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি বলে এক বাবু সা'ব তারে
ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক'রে কি জগৎ জুড়িয়া
মার খাবে দুর্বল?”
“জেনেছি সত্য বহুদিন মনে মনে,
উদ্দীপক-২ :
মুক্তির পথ মিশে গেছে জনগণে ।
যেখানে লক্ষ লোকের রুক্ষ হাত,
সৃষ্টির মাঝে নিয়োজিত দিনরাত।
সেই জনতার দীপ্ত মিছিল ধরে
নবযুগ আসে রক্ত দিনের ভোরে।"
অহনা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে শরিফা খানম একমাত্র মেয়ের জন্য খুবই বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি তাড়াতাড়ি তাঁর মেয়েকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করান। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কয়েকজন শিশু মারা গেলে মায়ের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে যায়। তিনি মেয়ের রোগমুক্তির জন্য নফল রোজা, নামাজ মানত করেন। মেয়ের রোগসজ্জার পাশে বসে সারাক্ষণ আল্লাহকে ডাকেন। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন আসে অহনাকে দেখতে। তাদের দেওয়া বিভিন্ন ফলমূল ও জুসে ভরে যায় হাসপাতালের কেবিনের টেবিল।